বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৬ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম ডেস্ক:
২০১৯ সালে ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদের পর থেকেই জননিরাপত্তা আইনে পিডিপি প্রধান মেহবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লার মতো শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের এক বছরেরও বেশি সময় গৃহবন্দী রাখে সরকার। তারপর বিভিন্ন চড়াই-উৎরাই শেষে গত বছরের শেষার্ধেই সুপ্রিম কোর্টের চাপে তাদের ছাড়তে বাধ্য হয় মোদি সরকার। কিন্তু ইতিমধ্যেই জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আবদুল্লাহ অভিযোগ করেছেন, তাঁকে ফের সপরিবারে গৃহবন্দি করা হয়েছে। গৃহবন্দি করা হয়েছে তাঁর বাবা তথা বর্তমান সাংসদ ফারুক আবদুল্লাহকেও। একই অভিযোগ করেছেন মেহবুবা মুফতিও। অন্যদিকে গৃহবন্দি হওয়ার কথা জানিয়ে এদিন টুইটারে কেন্দ্রকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন ওর আবদুল্লাহ। এমনকী গণতন্ত্রের নামে দমন পীড়নেরও তীব্র প্রতিবাদ করেন তিনি। ইন্ডিয়া টিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ওমর আবদুল্লাহ টুইটারে লেখেন, ‘২০১৯ সালের আগস্টের পর থেকে এটিই নতুন জম্মু-কাশ্মীর। কোনো ব্যাখ্যা না দিয়েই আমাদেরকে গোপকার এলাকার বাড়িতে তালাবন্দি করে রাখা হয়েছে। এটি খুবই অন্যায় যে, তারা আমার বাবা বর্তমান এমপি ফারুক আবদুল্লাহসহ আমাকে আমার বাড়িতে বন্দি করে রেখেছে। আমার বোন এবং তার সন্তানদেরও বাড়ি থেকে বের হতে দিচ্ছে না।’
টুইটারে তিনি তার বাড়ির গেটের বাইরে পুলিশের গাড়ির ছবি পোস্ট করেছেন। তার গৃহকর্মীদেরও বাড়িতে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন এই সাবেক মুখ্যমন্ত্রী।
এর আগে শনিবার পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (পিডিপি) প্রেসিডেন্ট ও সাবেক ম্খ্যুমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি অভিযোগ করেন, তাকেও গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে পারিমপোরা এলাকায় নিহত আতহার মুশতাকের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত করতে যাওয়ার আগেই তাকে গৃহবন্দি করে রাখা বলে তিনি অভিযোগ করেন। আতহার মুশতাকের সঙ্গে আরও দুজন নিহত হন। সূত্র : এনডিটিভি